দোয়ারাবাজারে জামেয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া পঞ্চগ্রাম সোনাপুর মাদ্রাসার কমিটি বিরোধ শালিসে নিস্পত্তির পথে
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা :: দোয়ারাবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া পঞ্চগ্রাম সোনাপুর মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ অবশেষে শালিসের মাধ্যমে নিস্পত্তির পথে এগুচ্ছে।
বিবাদমান দু’পক্ষের আন্তরিকতা ও শালিস ব্যক্তিবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) বাদ মাগরিব পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর বাজারস্থ সমিতির ঘরে শতাধিক জনতার উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার, মাদ্রাসার ভাবমূর্তি সংরক্ষণ এবং ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সমস্যার সমাধান করা জরুরি।
শালিস বৈঠকে সবাই মত দেন যে, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। পঞ্চগ্রাম এলাকার মুরব্বিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৯ অক্টোবর, বুধবার পরবর্তী শালিস বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হবে এবং ততদিন পর্যন্ত শালিস সিকিউরিটি বহাল থাকবে।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব মাওলানা মঈনুল হক, ইর্শাদ আলী মেম্বার, মজম্মিল আলী, আব্দুল আওয়াল মনু, আব্দুল মালিক, সৈরত আলী তালুকদার সমাই, সুনুর আলী, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আবুল খায়ের রুকন, অলিউর রহমান, আব্দুস শহিদ বাপন, মাওলানা দিলোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুল হক, বাবরুছ আলী মেম্বার,আব্দুল হাই বশিরসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বৈঠকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, যারা মাদ্রাসার ঐক্য ও ভাবমূর্তি রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
উল্লেখ্য যে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া পঞ্চগ্রাম সোনাপুর মাদ্রাসায় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সভাপতি ছিলেন হিম্মতেরগাঁও গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ, যিনি বর্তমান মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈঠকে নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব ওঠে। এতে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে দুইজনের নাম প্রস্তাব করা হয় — হিম্মতেরগাঁওয়ের আব্দুশ শহীদ বাপন ও চেঙ্গাইয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার ইর্শাদ আলী।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব নিয়ে এমন সহিংসতা দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছেন।
Reviewed by প্রান্তিক জনপদ
on
10/27/2025 11:59:00 PM
Rating:

No comments: